পরিচিতি
কতিপয় ইউনিয়ন নিয়ে থানা গঠিত। ১৮৯৮ সালের ফৌজদারী কার্যবিধির ৪(১) ধারার সংজ্ঞা মতে পুলিশ ষ্টেশন বা থানা বলতে যে কোন কেন্দ্র বা এলাকা সরকার কর্তৃক ঘোষিত পুলিশ ষ্টেশন বা থানা বুঝিতে হইবে। এই সম্পর্কে সরকার কর্তৃক ঘোষিত এলাকা একটি থানার অন্তর্গত হইবে। পুলিশ থানা হইতেছে তদন্ত কার্যের ইউনিট। কোন কোন থানার অধীনে পুলিশ ফাঁড়ি ও পুলিশ ক্যাম্প আছে। কিন্তু সেইগুলি তদন্তকার্যের কেন্দ্র নহে।
Thine
শব্দ থেকে Thana শব্দের উৎপত্তি। শাব্দিক অর্থে থানা হচ্ছে সুনির্দিষ্ট এলাকা যেখানে পুলিশ আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে সরকার কর্তৃক আদিষ্ট হয়ে প্রশাসন পরিচালনা করে।
থানা
হচ্ছে তদন্ত ও অনুসন্ধান ইউনিট। ১৯৭২ সনের ৭ ই নভেম্বর এক নির্দেশে জেলাকে বিভক্ত করে ছোট ছোট এলাকায় (থানা) ভাগ করা হয়। থানাকে পুলিশ প্রশাসনের মেরুদন্ড বলা যায়।
কয়েকটি
থানা একটি সার্কেলের অধীন এবং সার্কেল অফিস জেলার পুলিশ সুপারের অধীনে পরিচালিত। এছাড়া মেট্রোপলিটন এলাকায় থানা গুলি জোনের আওতাধীন সহকারী কমিশনার দ্বারা পরিচালিত ও সহকারী কমিশনার ডেপুটি কমিশনার এর অধীনে পরিচালিত।
দপ্তর
প্রধানের পদবীঃ
থানা প্রধান= অফিসার ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর)
মডেল থানা প্রধান= সহকারী পুলিশ সুপার (এ.এস.পি)
কার্যক্রমঃ
থানার
উল্লেখ্য যোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে মামলা রেকর্ড, সাধারণ ডাইরী, দন্ডবিধি ১৫৪ ধারা প্রতিপালন, অপমৃত্যু মামলা, অধর্তব্য মামলা লিপিবদ্ধকরণ, আগ্নেয়াস্ত্র জমা রাখা, পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সনদ প্রদান, চাকুরীর ভেরিফিকেশন করা, দিনে ও রাত্রে টহল দেওয়া, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ওয়ারেন্ট তামিল করা ইত্যাদি। থানার কার্যক্রমের প্রদান উদ্দেশ্য হচ্ছে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখা, অপরাধ দমন ও নিয়ন্ত্রন করা, তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা ইত্যাদি।
আওতাধীন
অফিসঃ
থানার
আওতায় পুলিশ ফাঁড়ি অথবা পুলিশ ক্যাম্প থাকতে পারে যা এস.আই বা এ.এস.আই দ্বারা পরিচালিত হয়। এই সকল ফাঁড়ি বা ক্যাম্প তদন্তকার্যের কেন্দ্র হিসাবে কাজ করতে পারবে না। মেট্রোপলিটন থানা পুলিশের জন্য পৃথক আইন রহিয়াছে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস